কী কাণ্ড! এরা এদের ছবি ছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র চায়। মানে ফটো ছাড়া ফটোআইডি চায়। কাঁঠালের আমসত্ত্ব চায়। অমাবস্যার চাঁদ চায়। এদের জাতীয় পরিচয়পত্র কে দেবে? কে জানে খাদিজা খাতুন কেমন দেখতে, আয়শা রহমান কেমন দেখতে, ফাতেমা বেগম কেমন দেখতে। এই ছবিহীন পরিচয়পত্র হাতে নিয়ে যে কোনও দাগী আসামী, যে কোনও দাউদ ইব্রাহিম, যে কোনও ছোট শাকিল বোরখা পরে যে কোনও স্থানে যে কোনও অপরাধ সংঘটিত করতে পারে। অবয়বহীন এইসব চলমান তাঁবু কারও জন্যই নিরাপদ নয়।
ইসলাম মানতে গিয়ে এরা মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখের অবধি পর্দা করেছে, এমন কি দেখার জন্য যে চোখ, শ্বাস নেওয়ার জন্য যে নাক –সেসবের পর্দাও করেছে, তাহলে কণ্ঠস্বরের পর্দা করেনি কেন? সেটা তো মাস্ট। মেয়েদের কণ্ঠস্বর রাস্তার বেগানা পুরুষেরা শুনে ফেললে তো মহাপাপ হবে। এই মহাপাপীরা দোজাহানের মালিক আল্লাহর জমির অংশকে নিজের নামে নিবন্ধিত করে নিজের জমি বলে জাহির করতে চায়, শিরক করা হয়ে গেল না?
এরা মিডিয়ার সামনে এসে এভাবে চিল্লাচ্ছে তাদের কন্ঠ যে পরপুরুষ শুনতেছে তখন শরিয়তের বিধিনিষেধের কথা মনে পড়ছে না?
এরা তো দেখছি দুনিয়াও চায় বেহেশতও চায়। ইসলাম বলেছে বাড়ির বাইরে বেরোলে এদের কণ্ঠস্বর যেন কোনও পুরুষ শুনতে না পায়। ইসলাম তো এদের কথা বলার অধিকার দেয়নি। বাপের সম্পত্তির ভাগ বলে কথা। হুজুর জামাই উস্কানি দিচ্ছে নিশ্চিত। এই নাকি এদের দুনিয়ার প্রতি লোভ নেই। একমাত্র ইসলাম দিয়েছে নারীর সর্বোচ্চ সম্মান।
এরা মানসিক ভাবে অসুস্থ। এদের অযৌক্তিক দাবি মানা মানে কতগুলি ক্রিমিনালকে প্রশ্রয় দেয়া।